এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক আবদুল লতিফ শেখ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান।
বাকি নয় আসামি হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম প্রিন্স (২১), আবু হানিফ (২৩), আমিনুল ইসলাম (২৫), জাহিদুর রহমান (২৭), আলী আহমেদ (২৮), আবদুল্লাহ আল আসাদুল্লাহ ওরফে পিয়াস (২৯), মো. জুন্নুন শিকদার (২৭), কাজী মোহাম্মদ রেজাউল শরীফ (৩০) ও নাইমুল হাসান (২৮)।
পুলিশ কর্মকর্তারা সে সময় জানান, জসীমের কার্যালয়ে দুই মন্ত্রীসহ ১২ জনের নামের একটি তালিকা যায়, যাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তাদের ধারণা।
এরপর ২৪ অগাস্ট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকি নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই রতেই মোহাম্মদপুর থানায় জসীম উদ্দিন রাহমানিসহ দশ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ।
এর মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বাদী হিসাবে রয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মন।
ওই নয় জনকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ; দুটি কম্পিউটার; বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট লঞ্চার ব্যবহারের বিষয়ে হাতে লেখা ও আঁকা প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল; বাংলা, আরবি ও উর্দু ভাষার ম্যাগাজিনের ২৫০টি পৃষ্ঠা, ধর্মীয় ব্যাখ্যার বই, নয়টি মডেম, ২৫টি সিডি, একটি চাকু, একটি হাতকড়া, ভিডিও ক্যামেরা ও একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন, ‘জিহাদের’ মাধ্যমে সরকারকে হঠানোর লক্ষ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ থানা থেকে অস্ত্র লুট ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল।