নিউ ইয়র্কে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেমিনার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে আদর্শ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনে তার ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 07:12 PM
Updated : 15 Sept 2014, 07:12 PM

গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তর সংলগ্ন বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

'বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউএসএ' ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এই সেমিনারের যৌথ উদ্যোক্তা।

সেমিনারে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ও নাট্য ব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দীন হোসেন বলেন,  “শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। অনেক নেতা যে কাজটি করতে পারেন নি, বঙ্গবন্ধু তা করেছিলেন। তিনি আমাদেরকে একটি পতাকা উপহার দিয়ে গেছেন।”

অটোয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর সেলিম শের বলেন, “৭ মার্চের ভাষণের প্রত্যক্ষ দর্শক-শ্রোতা আমি। আজ ইতিহাস বিকৃতি করতে একটি প্রজেক্ট নিয়ে মাঠে নামা হয়েছে।

“এরা কারা ? তা আমাদেরকে চিনতে হবে- জানতে হবে। মনে রাখতে হবে আজ লুকাবার কিছু নেই। সবকিছু আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। প্রজন্ম তা জানবেই, কেউ আটকে রাখতে পারবে না।”

প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, “আমাদেরকে মুজিবের আদর্শ বিষয়ে আরও জানতে হবে। তার লিখিত বই 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' একটি অনন্য দলিল। এই গ্রন্থে মুজিবের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ধ্যান ধারণার ঝলক রয়েছে।”

কবি ফকির ইলিয়াস ও সাখাওয়াত আলীর যৌথ উপস্থাপনায় এ সেমিনারে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এ কে আব্দুল মোমেন।

উপস্থাপনার এক পর্যায়ে ফকির ইলিয়াস জ্যাকব এফ ফিল্ড সংকলিত বিখ্যাত ব্যক্তিদের আলোচিত বক্তৃতার সংকলন ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস- দ্যা স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার্ড হিস্টরি’ বই থেকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তব্য পড়েন, যেখানে ‘জয় পাকিস্তান’ বা এ জাতীয় কোনো কিছু লেখা নেই। 

খ্রিস্টপূর্ব ৪৩১ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তিদের সেরা ভাষণ নিয়ে ২২৩ পৃষ্ঠার একটি সংকলন এটি। 

চেয়ারপারসনের ভাষণে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের আকাশে উজ্জ্বল সূর্য। তার রেখে যাওয়া চিন্তা-ভাবনাকে কাজে লাগিয়েই আমাদেরকে সোনার বাংলা গড়তে হবে।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পড়েন ইকবাল হোসেন ও স্বপন বসু। সেমিনারের শুরুতেই কানাডায় বসবাসরত মুস্তফা চৌধুরী তার বক্তব্যে পাশাপাশি যুদ্ধশিশু নিয়ে নিজের তৈরি একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখান।

অনুষ্ঠানে শরীফুল আলম, ফকির ইলিয়াস, মিজানুর রহমান প্রধান, শাহেদ সাদউল্লাহ হোসেন শাহরিয়ার তৈমুর এবং গোপন সাহা কবিতা আবৃত্তি করেন।

এতে নৃত্য পরিবেশন করেন তরুণ প্রজন্মের জেরীন মাইশা।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দুই বিশিষ্ট শিল্পী শাহীদ হাসান ও রথীন্দ্রনাথ রায়। সঙ্গীতে আরও ছিলেন- শিল্পী শাহরীন সুলতানা, জলি কর, সবিতা দাশ, অনুপ কুমার, দিলরুবা আবেদীন, চিত্রা এষ, নিখিল কুমার রায় প্রমুখ । তবলা সঙ্গত করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক তপন ব্যানার্জী ।

এবারের সেমিনারে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট সংগঠক সাখাওয়াত আলী। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন নাঈমা খান। আর যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মিনা ইসলাম।