সোমবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা ও পূজায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উনি কী মন্তব্য করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
“আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সবকিছু সুন্দরভাবে চলছে। চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়ার কোন ঘটনা ঘটে। এটি তার (মিজানুর রহমান) নিজস্ব বক্তব্য।”
এর আগে সকালে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহকে দেখতে গিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, “বর্তমানে পুলিশের চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়েছে। কেউ কারো কথা শোনে না।
“থানায় কোনো মামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিজে ভুক্তভোগীর অভিযোগের কাগজে সই করে ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। এমনটি তো হবার কথা নয়।”
ঈদ ও পূজাকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যা যা করা দরকার সরকার তা করবে।”
গরুর হাটে নকল টাকা সনাক্তকরন মেশিন থাকার পাশাপাশি হাটগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মহাসড়কে পুলিশ ও দলীয় কর্মীদের চাঁদাবাজিরোধের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এখন আর আগের মতো চাঁদাবাজি হয়না। তবে চাঁদাবাজি যে শূন্য কোটায় নামিয়েছি তা বলবো না। তবে চেষ্টা করছি।
তিনি জানান, মহাসড়কে চাঁদাবাজীসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশ এবার ‘নাইট ভিশন বায়নোকুলার’ ব্যবহার ব্যবহার করবে। এছাড়া পর্যবেক্ষণ চৌকিও রাখা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের মহাপরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মো. আলী হোসেন খান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ ছাড়াও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির মহাসচিব নারায়ণ সাহা মনি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।