সোমবার সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামালের ‘তারকা চিহ্নিত’ এক প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী দাবি করেন, নৌপথে কোনো ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করতে দেয়া হয় না।
“জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ১০ হাজার ১৪৩টি নিবন্ধিত নৌযান রয়েছে। এর বাইরে লঞ্চ মালিকরা কর্তৃপক্ষের অগোচরে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ পরিচালনা করে থাকতে পারে। এ ধরনের লঞ্চের তথ্য পেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ফিটনেসবিহীন লঞ্চে যাত্রী পরিবহন রোধে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বন্দরে ঈদের আগে-পরে পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে মন্ত্রণালয় থেকে ‘ঈদ প্যাসেঞ্জার ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
“মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও বিপদসঙ্কুল প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লঞ্চটি উদ্ধার করা যায়নি।”
মন্ত্রী বলেন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের দেয়া ‘সার্ভে সনদ’ অনুযায়ী পিনাকের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮৫ জন। তবে দুর্ঘটনার সময় ওই লঞ্চে দেড়শ থেকে ২২০ জন যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হয়।
গত ৪ অগাস্ট পিনাক-৬ পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। ওই দুর্ঘটনায় ৪৯ যাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৬১ যাত্রী।
ওই দুর্ঘটনার তিন দিনের মাথায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে অভিযান চালিয়ে চারটি নৌযানকে জরিমানা করে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত, যার মধ্যে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পরিবারের মালিকানাধীন সার্বিক এন্টারপ্রাইজের লঞ্চ ‘এমভি ঐশি খান’ও রয়েছে।
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া না থাকাসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে ‘ঐশি খান’ নামের লঞ্চটিকে ১০ হাজার টাকা জারিমানা করা হয়।
২০৮ হজ এজেন্সিকে শাস্তি
মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, ২০১৩ সালে হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের দায়ে ২০৮টি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে অনিয়মের কারণে ৮টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। পাঁচটি এজেন্সিকে ৫ লাখ টাকা করে, পাঁচটি এজেন্সিকে চার লাখ টাকা করে, ১৭টি এজেন্সিকে তিন লাখ টাকা করে এবং নয়টি এজেন্সিকে আড়াইলাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া কর্তৃপক্ষকে তথ্য না দেয়া এবং বাড়ি পরিদর্শনে সহায়তা না করায় ১২১টি হজ এজেন্সিকে দেড় লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে পাঁচটি এজেন্সির।