লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ : অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে

চট্টগ্রামের লালখান বাজারের হেফাজতী মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণে তিন জন নিহতের ঘটনার হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 02:13 PM
Updated : 15 Sept 2014, 02:13 PM

সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ওবায়দুস সোবহানের আদালতে শুনানির নির্ধারিত দিনে জামিনে থাকা এক আসামিকে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন হয়নি।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মো ইসহাক নামে মামলার আসামি এক মাদ্রাসা ছাত্র এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন।

“কিন্তু অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সে জেলে আছে। এ বিষয়ে জানা না থাকায়, ইসহাককে আজ আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে সব আসামি হাজির থাকতে হয়। কোনো আসামির অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি আইনসম্মত নয়।”

পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

এর আগে গত ১১ জুন এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন হেফাজত নেতা মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী, তার ছেলে মুফতি হারুণ বিন ইজাহার, মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ, হাবিবুর রহমান ও মো. ইসহাক।

পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় এ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে ৩৪ জনকে সাক্ষী  করা হয়।

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও লালখান বাজার মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজাহার বর্তমানে পলাতক থাকলেও তার পুত্র হারুণ বিন ইজাহার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। মুফতি হারুণও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর নগরীর লালখান বাজারের জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার দারুল ইফতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণে আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। তিনজই ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শুরুতে এটিকে ল্যাপটপ বিস্ফোরণ বলে চালাতে চাইলেও ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে হাতবোমা, এসিডসহ বিস্ফোরকের মজুদ পায় পুলিশ।

এ ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে বিস্ফোরক ও এসিড আইনে দুইটি এবং আরেকটি হত্যা মামলা করে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিস্ফোরক মামলায়ও মুফতি ইজাহার ও তার পুত্র হারুণসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে  অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল এই মামলার অভিযোগও গঠন করা হয়েছে।

গত ২৮ মে এসিড আইনের মামলাতেও বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

এছাড়া সম্পদ বিবরণীর মামলায়ও মুফতি ইজাহারের বিরুদ্ধে  আদালতে অভিযোগ গঠন হয়েছে।