সোমবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কুদরত ই এলাহীর আদালতে নারাজি আবেদনটি জমা দেন গত বছরের ওই ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ সমর্থক ফোরকান মিয়ার বাবা এজাহার মিয়া।
আদালত আগামী ২২ অক্টোবর নারাজি এবং অধিকতর তদন্তের বিষয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল হাশেম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আদালতে নারাজি দেন নিহত ফটিকছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারুক ইকবাল বিপুল হত্যা মামলার বাদী তার ভাগ্নে জিয়াউল হক জিয়া।
আদালত ওই আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২০ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত জুন মাসে একই ঘটনায় নিহত মো. রুবেল হত্যা মামলার বাদী তার মামা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামাল পাশা শওকত গত জুন মাসে নারাজি আবেদন করেন।
এ বিষয়ে গত ৬ অগাস্ট শুনানি শেষে ১৩ অগাস্ট আদালত ওই মামলাটি তদন্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেয়।
২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল বিএনপি জোটের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ির আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়।
কয়েকশ’ গাড়ি ও মোটর সাইকেলসহ মিছিলটি কাজির হাটে পৌঁছালে কাজীর হাট বড় মাদ্রাসার মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়- ‘মাদ্রাসার বড় হুজুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে’।
এরপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরসহ মিছিলকে ঘিরে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে,বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে এ হামলা হয়।
হামলায় তিন জন নিহত এবং পুলিশসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। পুড়িয়ে দেয়া হয় দুইশ মোটর সাইকেল।
তিনজন মারা যাওয়ার ঘটনায় আলাদা তিনটি মামলা করেন নিহতের স্বজনরা।
গত ৯ জুন ওই তিন হত্যামামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় ফটিকছড়ি থানা পুলিশ।
তিন মামলায় মোট ৬২৩ জনকে আসামি করে পুলিশ। রুবেল হত্যা মামলায় ২১৯, ফারুক ইকবাল হত্যা মামলায় ২০৭ এবং ফোরকান মিয়া হত্যা মামলায় ১৯৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের অনেকেই তিন মামলার অভিযোগপত্রেই আছেন।
অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাদের না জানিয়ে অভিযোগপত্র তৈরি ও জমা দেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়নি বলেও তার অভিযোগ।