এরশাদের রাডার মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি ফের পিছিয়েছে

রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি আবার পিছিয়ে গেছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 12:08 PM
Updated : 15 Sept 2014, 02:24 PM

সোমবার  মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক আগামী ২৩ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

গত ২০ অগাস্ট বিচারক যুক্তিতর্ক না শুনে সোমবার শুনানির দিন রেখেছিলেন জানিয়ে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহীন আমেদ খান বলেন, “বিচারক জহুরুল হক মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনতে চাচ্ছেন না বলেই আমি বাধ্য হয়ে সময় চেয়েছি।”

গত ১৫ মে আত্মপক্ষ সমর্থন করে রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন এরশাদ। মামলার অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সুলতান মাহমুদও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

মামলার আরেক আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক। মামলাটি নিষ্পত্তিতে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

গত ১১ জুন মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি নিতে পারবেন না বলে রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জানিয়েছিলেন ঢাকার বিভাগীয় জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ।

পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার জেলা জজ আদালতে বদলির কথা থাকলেও বদলি করা হয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে।

এ মামলায় এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার দায় থেকে মুক্তি পান। সে কারণে তার পক্ষে আইনজীবীই হাজির থাকেন প্রতি ধার্য তারিখে। সোমবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

এরশাদ আদালতে না আসলেও এসেছিলেন অন্য দুই আসামি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অন্য আসামিরা আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশী দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।

১৯৯৫ সালের ১২ অগাস্ট মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।