সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ হোসেনের হস্তক্ষেপে মুক্ত হয়ে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর তিনি ওই চিঠি লেখেন।
বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই অধ্যাপক সাইফুল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অব্যাহতি চেয়েছেন।”
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ।
এই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ‘অধ্যাপক সাইফুলের অনৈতিক প্রস্তাবের’ একটি অডিও ওই অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করে দেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে বিভাগের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলাভবনে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দেড় ঘণ্টা পর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অধ্যাপক সাইফুলকে মুক্ত করেন।
অধ্যাপক সাইফুল পরে উপস্থিত সাংবাদিকের সামনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। অবশ্য সাংবাদিকরা বিস্তারিত জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব না দিয়ে তিনি চুপ করে থাকেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, সেই ছাত্রীর দেয়া অডিও রেকর্ড শুনে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
“সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদনে সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষক বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ায় তদন্ত কমিটির ব্যাপারটি প্রভাবিত হতে পারে।"
সোমবার বিশ্ববিদ্যায়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে রয়েছে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, “বিষয়টি সিন্ডিকেটে উত্থাপনের পর আজই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।"
প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলার পর বিভাগের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ সব ধরনের কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর ওই চিঠি দেন অধ্যাপক সাইফুল।