মা-বোনসহ আদালতে জজ মিয়া

একুশ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় সাক্ষ্য দিতে মা ও বোনসহ আদালতে হাজির হয়েছেন জজ মিয়া।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 05:34 AM
Updated : 15 Sept 2014, 05:48 AM

সোমবার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক মো. শাহেদ নূর উদ্দিনের কাছে তারা জবানবন্দি দেবেন।

জজ মিয়া ছাড়া অন্যরা হলেন তার মা জোবেদা ও বোন খোরশেদ।

ফাইল ছবি

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানান, এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বররএ মামলায় জজ মিয়ার মা জোবেদার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এবার তার বোন খোরশেদার সাক্ষ্য নেবেন বিচারক।

আদালতে হাজির করা হলেও এদিন জজ মিয়ার সাক্ষ্য নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সেই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের বছর ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিরকোট গ্রাম থেকে জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ আদায়ের পর জজ মিয়াকে আসামি করেই ২০০৮ সালে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তবে পরে অধিকতর তদন্তে দেখা যায়, ওই মামলাকে ‘ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য’ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের নির্দেশে সিআইডি জজ মিয়াকে নিয়ে নাটক সাজানোর চেষ্টা করে।

সূত্রাপুর থানার একটি মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জজ মিয়াকে ‘রাজসাক্ষী করার আশ্বাস দিয়ে’ তার কাছ থেকে ‘মিথ্যা জবানবন্দি’ নেওয়া হয় এবং সিআইডির মাধ্যমে তার পরিবারকে ‘মাসিক খরচের টাকা’ও দেওয়া হত।

পরে হাই কোর্ট জজ মিয়াকে ২১ অগাস্টের মামলা থেকে অব্যাহতি দিলে ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।

ফাইল ছবি

আদালতের নির্দেশে ২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৩০ জনকে আসামির তালিকায় যোগ করে এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

তাতে জজ মিয়া ও তার মা-বোনকে সাক্ষী করা হয়।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১০২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। ৫২ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৯ আসামি পলাতক।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার আগে ওই গ্রেনেড হামলায় দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।

আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।