তিন খুন: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কালা বাবু নিহত

রাজধানীর মগবাজারের তিন খুনের প্রধান আসামি শাহ আলম খন্দকার ওরফে কালা বাবু পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 03:17 AM
Updated : 15 Sept 2014, 02:57 PM

মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, সোমবার ভোরের দিকে মগবাজার ওয়্যারলেসগেইট রেলক্রসিংয়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ওই এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ অবস্থান নিলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে এক যুবক আহত হয়।”

ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার আলামিন ও রাজিব নামের দুইজন এবং স্থানীয়রা লাশ দেখে ‘কালা বাবু’ বলে সনাক্ত করে বলে মাসুদুর রহমান জানান।

রেলের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৮ অগাস্ট রাতে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার সোনালীবাগে বৃষ্টি আক্তার ওরফে রানু (৩০), মুন্না (২২) ও বিল্লাল হোসেন (২০) নামে তিনজন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।

ওই ঘটনার পর বৃষ্টির ভাই মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম ওরফে কালা চাঁদ রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে প্রধান আসামি করা হয় কালা বাবুকে।

ওই মামলার ১৫ আসামির মধ্যে চারজনকে এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় এক ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, “কালা বাবু মামলা হওয়ার পর থেকেই কালা চাঁদকে হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার ভোররাতে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় সে।”

এ খবরের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে গোয়েন্দা পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নিলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মনিরুল ইসলাম জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কালা বাবুর সহযোগী আলামিন ও রাজিবকে।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিন খুনের কারণ জানা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

যুগ্ম কমিশনার মনিরুল জানান, কালা বাবু এ বছরের শুরুতে টিঅ্যান্ডটি কলোনির আনাসার সদস্য হত্যা, পার্সেল কোম্পানি করতোয়ার মালিককে গুলি করে হত্যা, ২০০৯ সালে তোবা গার্মেন্টের মালিক দেলোয়ায় হোসেনের শ্বশুর হত্যা মামলার আসামি। এর বাইরেও তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

গোলাগুলির সময় পুলিশের দুই সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন, যারা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান মনিরুল। 

এর আগে রোববার ভোরেও মুগদায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে ’ মেজবাউদ্দিন তারেক নামে এক যুবক নিহত হন।

পুলিশ তারেককে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও স্বজনদের দাবি, তারেকের নামে কোনো অভিযোগ ছিল না।

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, তারেকের সঙ্গে কোন প্রেক্ষাপটে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে।