ময়নাতদন্তেও মৃত্যুর কারণ ‘জানা যায়নি’

ঝিনাইদহ শহরের ডক্টরস ক্লিনিকে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তেও উদঘাটন করতে পারেননি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2014, 01:30 PM
Updated : 14 Sept 2014, 01:30 PM

শনিবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বগুড়া গ্রামের জুয়েল হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয় বেসরকারি হাসপাতাল ‘ডক্টরস ক্লিনিকে’।

ওইদিনই তাদের ময়নাতদন্ত করা করা হয়।

এ ঘটনায় হাসপাতালটির চার কর্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মৃতদেহ দুটিতে হত্যা বা আত্মহত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তাও জানা যায়নি ময়নাতদন্তে।

“ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য তা ঢাকায় মহাখালীর পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে মৃতুর কারণ জানা যাবে।”

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহাবুদ্দিন আজাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার নিসঃন্তান দম্পতি জুয়েল হোসেন ও নাসরিন খাতুন চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ শহরের ডক্টরস ক্লিনিকে আসেন।

কিনিকের মালিক ডা. হামিদুন্নেছা পাখি তাদেরকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন।

এতে তারা রাজি হলে স্বামী-স্ত্রীকে একটি কক্ষে পাঠানো হয়। প্রায় দুঘণ্টা পর ওই কক্ষের ভেতর থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃতের স্বজনরা তাদের মৃতদেহ নিয়ে গেছেন।

ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে পুলিশ ক্লিনিকের নার্স রোখসানা পারভীন, ম্যানেজার কাজী রাশেদুল নেছা শিউলী, টেকনোলজিস্ট স্বপন আলি ও অ্যাসিসট্যান্ট ল্যাব টেকনিশিয়ান কলিমুদ্দিনকে আটক করেছে।

পরে ১৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।