রমনায় বোমা: বিস্ফোরক মামলায় ফের অভিযোগ গঠন

বিস্ফোরক আইনের নতুন ধারা যুক্ত করে রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আবারো অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2014, 11:40 AM
Updated : 14 Sept 2014, 11:57 AM

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা সংযোজনের আবেদন মঞ্জুরের পর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

ফাইল ছবি

বিস্ফোরক আইনের ষষ্ঠ ধারায় মারাত্মক বিস্ফোরক উৎপাদন, আমদানি বা নিজের কাছে রাখার বিষয়টি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সরকারকে দিয়ে আইন ভাঙার দায়ে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।  

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী তারিখ রাখা হয়েছে।

“ঢাকার মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এন এম বশির উল্লাহ ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিলে এ মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছিলেন, যা ছিল ত্রুটিপূর্ণ।”

রোববার নতুন করে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

মামলার ১৪ আসামির মধ্যে কারাগারে আটক হরকাতুল জিহাদনেতা মুফতি আবদুল হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা আব্দুর রউফ, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া ও মওলানা আকবর হোসাইন অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে হাজির ছিলেন।

২০০১ সালের পহেলা বৈশাখ ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় ৮ বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর মধ্যে হত্যা মামলার রায়ে গত ২৩ জুন মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের ফাঁসি ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় এ আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, মওলানা আকবর হোসাইন, মওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা আব্দুর রউফ, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া।

পলাতক রয়েছে মওলানা মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান ও মুফতি আব্দুল হাই।