বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আঞ্চলিক কমিটির সভার অটিজম বিষয়ক এক পার্শ্ব বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি সব সময় আপনাদের সাথে আছি। যারা অটিজমে কষ্ট পাচ্ছে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করবো, যেন সকলে সুস্থ জীবন পায়।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “এই বিষয়টিকে অবহেলা করলে হবে না। সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি অটিস্টিকদের সহায়তায় সকল রকমের সহায়তা করবো।”
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য সায়মা হোসেন ওয়াজেদ।
বিশ্ব অটিজম সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুয়েত সেন্টার ফর অটিজমের প্রতিষ্ঠাতা সামিরা আল সাদ এবং আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের ডিন মাইকেল ক্ল্যাগও বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া ভারত ও ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, তুরস্ক, জাপান, মালয়েশিয়া ও কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, ইউএস এইড, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ’র আবাসিক প্রতিনিধি, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী রেড ক্রসের প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ১৯৭৪ সালে সমাজকল্যাণ পরিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের ৪৭টি সাধারণ বিদ্যালয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়ার বঙ্গবন্ধু সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরনে।
প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “অটিজম আক্রান্তরা কোনভাবেই আমাদের বোঝা নয়। বিশ্বমানের অনেক মনীষী আছেন যারা এ সমস্যায় আক্রান্ত। সঠিক পরিচর্যা, সমাজের সহানুভূতি ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাদেশের অনেকেই নিজেদের সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত অটিজমসহ নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা আক্রান্তদের অধিক পরিমাণে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে আমরা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে অধিদপ্তরে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছি।
“আমাদের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, কিন্তু আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। সীমিত সম্পদ নিয়েই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”