বুধবার কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) তিনদিনব্যাপী কাউন্সিল সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আইটিইউর সম্মেলনে হবে এই নির্বাচন। এতে বাংলাদেশের অংশ নিচ্ছে।
কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলে আইটিইউর নীতিনির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সুনীল বোস বলেন, “আইটিইউ নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সিটিও সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে প্রচারণা চালানো হয়েছে, সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশর প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।”
তিনি বলেন, সিটিও এর মতো বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করার অন্যত্তম উদ্দেশ্য ছিলো আইটিইউ নির্বাচনের প্রচারণার চালানো, এই কাজটি হয়েছে।
“তবে কতজনের সমর্থন পাওয়া গেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। গতবারে আফ্রিকার দেশগুলোর ভাল সমর্থন পেয়েছি, আবারও পাবো বলে আশা করছি।”
আইটিইউ এশিয়া প্যাসিফিকে ১৩টি দেশ কাউন্সিল সদস্য পদে নির্বাচিত হবে। ইতোমধ্যে ১৭ দেশ সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
এর আগে ২০১০ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো আইটিইউর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। তারও আগে ১৯৭৩ সালে পায় সাধারণ সদস্যপদ।
গত নির্বাচনে এশীয় অঞ্চলের ১৩টি পদের জন্য ১৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে ষষ্ঠ স্থান লাভ করে বাংলাদেশ। আইটিইউ সদস্য রয়েছে ১৯৩টি দেশ।
সোমবার থেকে তিনদিনব্যাপী সিটিও ফোরামে ৯ টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় একশত ১১ জন বিদেশি প্রতিনিধিসহ দুই শতাধিক নিবন্ধিত প্রতিনিধি ফোরামে অংশ নেয়।