এই শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখতে ইন্দিরা রোডের কালিন্দি অ্যাপার্টমেন্টে তার বাসায় জড়ো হয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই।
ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত্যু হয় ৮৪ বছর বয়সী এই শিল্পীর।
রাতে হাসপাতালের হিমঘরে রাখার পর বুধবার সকাল ৮টার দিকে কফিন নিয়ে আসা হয় ইন্দিরা রোডের বাসায়। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুরে ফিরোজা বেগমের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলার রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক জমিদার পরিবারে ফিরোজা বেগমের জন্ম। বাবা খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন আইনজীবী। মা কওকাবন্নেসা বেগমও ছিলেন সংগীতের অনুরাগী।
ফিরোজা যখন গানের জগতে প্রবেশ করেন তখনকার বাঙালি মুসলমান সমাজে মেয়েদের সংগীতের তালিম নেয়া সহজ বিষয় ছিল না। কিন্তু বয়স দশ বছর পেরুনোর আগেই তার কণ্ঠে নিজের গান শুনে মুগ্ধ হন খোদ কবি নজরুল ইসলাম।
১৯৫৫ সালে সুরকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজার। নজরুলের সরাসরি সংস্পর্শে আসা কমল বিদ্রোহী কবির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গানে সুর দিয়েছেন। ফিরোজা নিজেও পরে নজরুলের গানের স্বরলিপি তৈরি করেন; সুর সংরক্ষণে ভূমিকা রাখেন।
সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পদকসহ দেশে-বিদেশে নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ফিরোজা বেগম।