মঙ্গলবার রাতে রামপুরা, খিলগাঁও ও গুলিস্তানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাঈদুর রহমান।
তিনি বলেন, “তাদের থেকে দেশি অস্ত্র, বোমা ও বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জামও পাওয়া যায়।”
তবে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলোর ধরন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি উপ-পুলিশ কমিশনার সাঈদুর।
পুলিশের বলছে, গ্রেপ্তাররা গত ১৯ অগাস্ট মগবাজারের দিলু রোডে সিএনজি পাম্পের গলি থেকে হাতবোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির পর গুলি করে আবুল কাশেম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সঙ্গে জড়িত।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, “আটক চক্রটি প্রথমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক টাকা জমা ও ওঠানোর সময়সূচি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতো। এক্ষেত্রে তাদের একটি দল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নজরদারির মধ্যে রাখত।
“আরেকটি দল হাতবোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছিনতাইয়ের কাজটি সম্পন্ন করতো। মগবাজারে এই পদ্ধতিতেই ছিনতাইয়ের কাজটি করেছে তারা।”
তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য জানায়। ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন খাতে খরচ করে ফেলায় জে আর করপোরেশনের ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার করা যায়নি।”
কালাম, খলিল ও সারোয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে এবং তারা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল।
তবে নয়নের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না বা এর আগে সে গ্রেপ্তার হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।