স্মার্টকার্ড: তথ্য সংশোধন ডিসেম্বরের মধ্যে

নাগরিকদের হাতে স্মার্টকার্ড দেওয়ার আগে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2014, 02:59 AM
Updated : 3 Sept 2014, 02:59 AM

জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন নিয়ে বহুমুখী প্রচারণা চালাতে যোগাযোগ বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি) কাজ করবে।

মঙ্গলবার কমিশন সভার মতামতের জন্য এ ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্র ও তথ্যভাণ্ডারে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করা এবং স্মার্টকার্ড নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্যে প্রচারণার জন্য এ কমিশন সভা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ, সঠিক ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার লক্ষ্যে আইডিইএ প্রকল্প চলমান রয়েছে।

প্রচারণা কৌশল নির্ধারণ, তথ্য ভাণ্ডার সংযোগ, সংশোধনসহ জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সার্বিক জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিসিসিপিকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং এর মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও চলছে। মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কার্যাদেশ প্রদান ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষ হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা প্রাথমিক প্রস্তাব পেয়েছি। আগামী সভায় পরিকল্পনা প্রস্তাব নিয়ে আরও পর্যালোচনা করে সময়সূচি চূড়ান্ত করব।”

অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন কমিশন সভায় এ বিষয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

কমিশনের কার্যপত্রে তিনি জানান, বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্র ও তথ্যভাণ্ডারের ভুল সংশোধন, হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পুনঃপ্রাপ্তি, উন্নত মানের আইডি কার্ড সম্পর্কে সচেতন করা এবং এর সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করবে বিসিসিপি।

এক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য সম্ভাব্য সময়সীমা ধরা হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, টিজার পর্যায় ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রমোশন পর্যায় ১০ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর।

সভায় মহাপরিচালক বলেন, আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত মানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার আগে নাগরিকদের নিবন্ধন তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ভোটারদের তথ্য ও বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুলগুলো সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে।

“প্রয়োজনীয় সংশোধনী করে ডাটাবেজ উন্নত মানের আইডি কার্ড মুদ্রণের জন্য প্রস্তুত করা আবশ্যক।”

ইতোমধ্যে স্লোগান, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে গণমাধ্যমে ও মাঠেঘাটে প্রচারণার জন্য নানা ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ‘থিম সং’ও। যে গানের কথা- ‘আমি যাব না হারিয়ে/দেশে কিংবা বিদেশে…।

জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৯ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ভোটারের তথ্যভাণ্ডারকে নির্ভুল করেই আগামী বছর স্মার্টকার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এবার হালনাগাদে আরো প্রায় ৪৬ লাখ নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হচ্ছে।