গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৯ আসামি পলাতক: মন্ত্রী

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ ১৯ আসামি পলাতক এবং ২৫ আসামি জেলহাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2014, 03:17 PM
Updated : 2 Sept 2014, 03:17 PM

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমাসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দলের কয়েকশ নেতাকর্মী।

আনিসুল হক জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৯ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অধিকতর তদন্তের জন্য রাষ্ট্র আবেদন করলে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট আদালতের আদেশে ২০১১ সালের ২ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এতে হত্যা মামলায় ৫২ জন আসামি এবং বিস্ফোরক মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়।  ৭ তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা দুটির তদন্ত করেন, যাতে মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৪৯১ জন।

দুই মামলায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত একশ’ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

সরকারি দলের আরেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমান প্রসিকিউটরের সংখ্যা ২০। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ সর্বমোট ১১টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০ জনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন ২০ প্রসিকিউটর কর্মরত রয়েছে।

তিস্তা পানি চূক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত

সরকারি দলের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়ের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদমন্ত্রী  আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সংসদকে জানান, দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার ফলশ্রুতিতে তিস্তা নদীর অন্তবর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমাত আরা সাদেক।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনার্স এবং মাস্টার্স পাশ করতে সময় অনেক কম লাগে। তাই আপাতত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের।

কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, এক বছরে ২১ জন সরকারি কর্মকর্তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে এই ২১ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একই সময় ৫ জন কর্মকর্তা অবসর নিয়েছেন।

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। দিনের কার‌্যসূচির শুরুতে মন্ত্রীদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে।