মঙ্গলবার রাজধানীতে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে এক আলোচনায় তিনি বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয় এখন অনেকটা দানবাক্সের মতো হয়ে গেছে। নিজস্ব কোনো কার্যকর প্রজেক্ট নেই, ৬-৭ টি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কাজে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে টাকা নিয়ে যায়।”
একইসঙ্গে ‘বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়’ হিসেবে আমলাতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বদলি করাকেও সমস্যা মনে করেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এছাড়া আমলাতান্ত্রিক সমস্যা তো রয়েছেই। পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে হলে প্রয়োজন বিশেষায়িত জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তা। আমলাতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে যেভাবে ঘন ঘন কর্মকর্তাদের ট্রান্সফার করা হয় এখানেও এমনটা করলে তো সমস্যা।
“পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করে আসা কোনো কর্মকর্তাকে যদি হঠাৎ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয় তাহলে তিনি কীভাবে কী করবেন?”
শেখ হাসিনার সরকারে আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা দলের নেতাদের মধ্যে অন্যতম মঞ্জু। জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জলবায়ু অর্থায়ন: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে শিল্পোন্নত বিশ্বের প্রতিশ্রুত অর্থের সঠিক সদ্ব্যবহারের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন পরিবেশমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, “গোটা দেশের কথা বাদ দিলাম, ঢাকার কথা ধরা যাক। একটি সুনির্দিষ্ট সিস্টেমেটিক ওয়েতে এগুলে গুলশান- বারিধারা লেকের সংস্কার আসলে একদিনের কাজ। সংস্কারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
“ট্যানারিগুলোর বর্জ্যের কারণে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যার পানি দূষিত হচ্ছে। ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ কার্যকর করা হয়েছে? নিজেদের সচেতনতা না থাকলে পশ্চিমা বিশ্বের দোষ দিয়ে লাভ কী?”
কর্মশালায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিদারুল আহসান, ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশন টিমের সমন্বয়ক অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমাদ ও ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।