ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে তিনটি ছাত্রাবাসের সামনে থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মঈনউদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ জানান, মঙ্গলবার সকালে চৌধুরী হাট এলাকায় শিক্ষকদের একটি বাস ভাঙচুর করে ধর্মঘট আহ্বানকারীরা।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসটি শিক্ষকদের আনার জন্য ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন এসে বাসে ভাঙচুর চালায়। তবে কেউ আহত হয়নি।
ঘটনার পরপর রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাহারা থাকায় পরবর্তী বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করেছ।
আগের দিন সোমবার সকালের দিকে চৌধুরীহাট স্টেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হাতবোমা ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে রেল লাইনে টায়ার জ্বালিয়ে ট্রেন চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, “ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিটি বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রমও চলছে।”
তিনি আরো জানান, মান্টার দা সূর্য সেন হল, আলাওল ও এফ রহমান হলের সামনে থেকে ওই তিনজনকে সকালে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মঈনউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই বাছাই চলছে।”
গত ২৪ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্র শিবির ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির পর সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু পেট্রোল বোমা ও পাথর উদ্ধার করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরদিন শিবিরকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হলটি বন্ধ করে দেয়।
এছাড়া গত ১২ জানুয়ারি শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহ আমানত হলও।
এসব হল খুলে দেয়ার দাবিতে ‘হলের আবাসিক শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে বিভিন্ন গণম্যাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে রোববার থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
তবে ধর্মঘটের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ।
সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও অভিযোগ, হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাম দিয় ইসলামী ছাত্র শিবির কর্মীরা এ ধর্মঘট আহবান করেছে।