মঙ্গলবার সকালে রেডিসন হোটেলে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধানদের সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্ব আজ যে বহুমাত্রিক সন্ত্রাসী হুমকির সম্মুখীন, তা কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
“এদের মোকাবিলার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ড এবং বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধানদের সম্মেলনের সফলতাও প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি, এই সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের পরস্পরের মধ্যে বিদ্যমান দেয়ালগুলো ভেঙে যাবে। আপনাদের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি পাবে।”
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘দ্য ফিউচার: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস ফর সিকিউরিটি কো-অপারেশন’।
বর্তমান বৈশ্বিক পেক্ষাপটে এ সম্মেলন গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্ব বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে দেশে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান ঘটছে। এসব জঙ্গি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষের জানমালের পাশাপাশি বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ।”
“বিশ্বশান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীর মোকাবিলা আজ শান্তিকামী দেশগুলোর জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।”
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোন হুমকিই আমাকে সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নেওয়া অবস্থান থেকে সরাতে পারবে না।”
২০০৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার বক্তৃতায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার যে প্রতিজ্ঞা আমি করেছিলাম তাতে আমি আমৃত্যু অবিচল থাকব।”
তিনি বলেন, “আপনাদের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বশান্তির শত্রুদের পরাজয় হবে এবং আমাদের বিজয় হবে।”
অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, ডিজিএফআই’য়ের মহাপরিচালক এবং ডিআইএ’র পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।