তারা দুজনেই মামলার সুরতহাল ও জব্দ তালিকার সাক্ষী।
এনিয়ে আলোচিত এই মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে তিনজনের সাক্ষ্য শেষ হল বলে জানিয়েছেনন এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম তালুকদার।
আগামী বুধবার পরবর্তী সাক্ষ্য নেয়ার দিন ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ঐশী এবং মামলার অন্য দুই আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৬ মে ঐশীসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আলোচিত এই মামলার বিচার শুরু হয়।
শাহ আলম তালুকদার বলেন, “আদালতের সামনে জনি ও রাকিব ঐশীর আইনজীবীর জেরার উত্তরে বলেন, সুরতাল ও জব্দ তালিকায় কী লেখা ছিল, তারা দুজনে তা পড়ে দেখেননি। তবে তারা কোন সাদা কগজে স্বাক্ষর করেননি। লেখা কাগজেই স্বাক্ষর করেছেন।
“কয়টি এবং কী কী আলামত তদন্ত কর্মকর্তা জব্দ করেছেন, তারা তা জানেন না। আর তদন্ত কর্মকর্তা তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেননি।”
এর আগে গত ৮ জুলাই আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ঐশীর চাচা মো. মশিহুর রহমান রুবেল, যাতে তিনি ভাই-ভাবিকে খুনের জন্য ভাতিজিকে দায়ী করেননি।
ঐশীর আইনজীবীদের জেরার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার ভাই ও ভাবীকে আমার ভাতিজি খুন করেনি। মাহফুজুর রহমান পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (পলিটিক্যাল শাখা) কর্মরত ছিলেন। কোনো দুষ্কৃতিকারী তাকে খুন করে থাকতে পারে।”
গত বছরের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের একটি ফ্ল্যাটে এসবি পরিদর্শক মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশ পায় পুলিশ।
পরে তাদের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ঐশী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পুলিশ ঐশীদের বাড়ির গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমী এবং ঐশীর বন্ধু রনি ও জনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় দুই বন্ধুকে ঐশীর আশ্রয়দাতা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
গত বছরের ২৪ অগাস্ট আদালতে বাবা-মা হত্যায় ‘দোষ স্বীকার’ করে জবানবন্দি দেন ঐশী,যদিও পরে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন,‘ক্রসফায়ারের’ ভয় দেখিয়ে ওই স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছিল।
গত ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে গত ৬ মে ঐশীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তার মামলার বিচার চলছে।
গত ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন। এরপরই তিনি সুমিকে জামিন দেন। গত ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে মেয়েটি।