মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আকরাম-উল হোসেন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপজেলা পরিষদ আইনের ১৩ (খ) ধারা অনুযায়ী কোনো জনপ্রিতিনিধির বিরুদ্ধে কোনো মামলায় অভিযোগপত্র হলে কিংবা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রয়েছে।”
ওই বিধান অনুযায়ী উখিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপেজলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছেনোয়ারা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে বলেও যুগ্মসচিব জানান।
বরখাস্ত সরওয়ার জাহান চৌধুরী উখিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সুলতান মাহমুদ চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
উখিয়া থানার ওসি অংসা থোয়াই মারমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিক্ষুব্ধরা সড়কে তিনটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।”
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
ফেইসবুকে ধর্মীয় অবমাননার ছবি থাকার অভিযোগ তুলে ওই সাম্প্রদায়িক হামলায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পুরোপুরি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ধ্বংস ও লুট করা হয় আড়াইশর বেশি দুর্লভ বৌদ্ধমূর্তি। হামলা হয় বৌদ্ধ বসতিতেও।
এসব ঘটনায় ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয় বলে যুগ্ম সচিব আকরাম-উল হোসেন জানান।