ছাত্রলীগকর্মীকে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ

ঢাকায় সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2014, 02:35 PM
Updated : 1 Sept 2014, 02:35 PM

রোববার রাত ১২টার পর গাজীপুর জেলার নিমতলি স্টেশনে ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের নেতারা সোমবার বিকালে চট্টগ্রামে ফিরলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নিহত তরিকুল ইসলাম (২০) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আবদুর রশিদের ছেলে।

বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী তরিকুল চলতি বছর এইচএসসি পাশ করেন। আহত সাহেদ ও রিটন একই উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মী।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সাকিবের দাবি, ট্রেনের এক বগি থেকে নেমে অন্য বগিতে ওঠার সময় ট্রাকচাপায় তরিকুলের মৃত্যু হয়।

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তরিকুলসহ তিনজনকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনা শুনেছি। দুর্ঘটনা না কি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা পুরোপুরি জানি না। সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”

সালাউদ্দিন সাকিব জানান, চট্টলা মেইলে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে একই বগিতে থাকা সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে লোহাগাড়ার কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। 

“ট্রেনটি গাজীপুরের নিমতলি স্টেশনে পৌঁছলে তরিকুলসহ তিনজন এক বগি থেকে নেমে অন্য বগিতে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় একটি দ্রুতগতির বালিবাহী ট্রাক তরিকুলদের চাপা দেয়।”

গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তরিকুল। বাকি দুইজনকে ভর্তি করা হয় উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে।

সাকিবের দাবি, যে ট্রাকটি তিন ছাত্রলীগকর্মীকে চাপা দিয়েছে তার নম্বর চুয়াডাঙ্গা চ-১১০৬১২। তবে ঠিক কীভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তা বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি। 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাকিব জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তরিকুলের মরদেহ চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে।