এরমধ্যে সোমবার মারা যায় সাফি খাতুন (১৪) ও মনিকা খাতুন (১৫) এবং রোববার মারা যায় শিশু মনিকা।
ধুনট থানার ওসি এনায়েত কবীর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা এ তিন মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বেলা ১২টার দিকে কাদাই গ্রামের বন্যার পানিতে গোসল করতে যায় গ্রামের আব্দুল বাকীর মেয়ে সাফি খাতুন (১৪)। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
বিকাল ৩টার দিকে ফায়ার সর্ভিসের সদস্যরা কাদাই খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
মৃত কিশোরী কাদাই দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা রিপন জানান, বিকাল ৩টার দিকে শিয়ালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমানের স্ত্রী ও তার গৃহকর্মী মনিকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়ক থেকে পা পিছলে খাদে পড়ে যায়।
এসময় মোজাফ্ফর রহমানের স্ত্রী আত্মরক্ষা করতে পারলেও শিয়ালী গ্রামের সাহেল আলীর মেয়ে মনিকা নিখোঁজ হয়। ঘণ্টাখানেক পরে খাদ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
এদিকে আগের দিন রোববার দুপুরে উপজেলার চরখুকশিয়া গ্রামে বন্যার পানিতে খেলার সময় স্কুল পড়ুয়া এক শিশুর মৃত্যু হয়।
গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ওই দিনের দুর্ঘটনায় মৃত মো. আব্দুল্লাহ স্থানীয় নুরুল ইসলামের ছেলে।
মহিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণিতে পড়ত শিশুটি।