লন্ডনে থেকে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে তার স্ত্রীর চাকরিচ্যুতির খবর সোমবার সংসদে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
জরুরি অবস্থায় গ্রেপ্তার খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তারা লন্ডনেই রয়েছেন।
ছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়ার পর কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছিলেন জোবাইদা। তবে তার সর্বশেষ আবেদনটি আর গ্রহণ করেনি মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিবিধিতে বলা আছে, কেউ পাঁচ বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাকে চাকরিচ্যুত করা যায়।
ওই বিধি অনুযায়ীই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্রবধূকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে জানান মোহাম্মদ নাসিম।
আওয়ামী লীগের তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসের ওই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আইন সবার জন্যই সমান। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাকে (জোবাইদা) বরখাস্ত করে দেয়া হয়েছে।”
জোবাইদার বরখাস্তের খবরটি হাসতে হাসতে দিচ্ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী; আর তার কথা শোনার পরে বিএনপিবিহীন এই সংসদের অনেক সদস্যকেই হাততালি দিতে দেখা যায়।
জোবাইদাকে গত জুলাই মাসে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনে দেখা গিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া খালেদার সঙ্গে দুবাইয়ে যোগ দিয়েছিলেন লন্ডন থেকে আসা তারেক ও তার স্ত্রী।
নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের মেয়ে জোবাইদা ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন। তার দুই বছর আগে তারেকের সঙ্গে বিয়ে হয় জোবাইদার।
স্বামীর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার সময় শিক্ষা ছুটি নিয়েছিলেন জোবাইদা। পরে তা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত করেন তিনি।
স্বামীর চিকিৎসা শেষ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার ছুটি বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন জোবাইদা, তবে ওই আবেদনটি ‘যৌক্তিক’ মনে না হওয়ায় ছুটি মঞ্জুর করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।