যুদ্ধাপরাধী আলীমের দাফন সম্পন্ন

একাত্তরে গণহত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আব্দুল আলীমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2014, 09:57 AM
Updated : 1 Sept 2014, 09:57 AM

সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট শহরের থানা রোডে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হয়। এর আগে যোহরের নামাজের পর জয়পুরহাটে স্টেডিয়াম মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছরের ৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর থেকে ৮৪ বছরের আলীম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন ওয়ার্ডে ছিলেন। সেখানেই শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মঙ্গলবার তাকে আইসিইউতে নিয়ে ফুসফুস থেকে পানি বের করা হয়। এই কয়দিন তিনি লাইফ সাপোর্টেই ছিলেন।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আলীমের আপিল সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে।

একাত্তরে মুসলিম লীগ নেতা আলীমের বিরুদ্ধে আনা ১৭টি অভিযোগের মধ্যে জয়পুরহাটে সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, লুটপাটের নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

রায়ের দিন আদালতে নেয়া হচ্ছে আব্দুল আলীমকে

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, আলীম তখন কনভেনশন মুসলিম লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা এবং বগুড়া জেলা কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।

সে সময় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য মহুকুমা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রাজাকার বাহিনী গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল আলীমের বিরুদ্ধে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর এবং ১৯৭৭ সালে দুই দফা জয়পুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলীম। ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনি বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জিয়াউর রহমানের সরকারে প্রথমে বস্ত্রমন্ত্রী এবং পরে যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন আলীম।