‘কাবিননামায় সই করেই তো লাইসেন্স পেয়েছে’

যারা সম্প্রচার নীতির সমালোচনা করছেন তাদের ওই নীতিমালার পাশাপাশি সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর লাইসেন্সের শর্তও পড়ে দেখার পরামর্শ দিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2014, 12:33 PM
Updated : 31 August 2014, 12:33 PM

তিনি বলেছেন, নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করা হয়েছে ‘নীতিবোধ’ তৈরি করার জন্য।

রোববার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “সম্প্রচারের কিসের স্বাধীনতা চান? মালিকের-লুটেরার, নাকি যে সাংবাদিকতা করছে তার বিবেক ও চেতনা অনুযায়ী বর্ণনা করতে পারার স্বাধীনতা?”

অনেকে না জেনেই সম্প্রচার নীতিমালার সমালোচনা করছে ইংগিত করে মন্ত্রী বলেন, “সম্প্রচার নিয়ে যে কথা-বার্তা হচ্ছে তা শুনলে আমি হাসি। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি পড়েছেন কিনা। তিনি কিন্তু পড়েননি।”

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, কেবল নীতিমালা পড়লেই হবে না, টেলিভিশনগুলো যেসব শর্তে লাইসেন্স পেয়েছে সেগুলোও জানা থাকতে হবে।

“ওরা কী কী শর্তে দস্তখত করে লাইসেন্স নিয়েছে সেই শর্তটা একবার বের করে দেখুন। ওই কাবিননামায় দস্তখত করেই কিন্তু লাইসেন্স পেয়েছে।”

ফাইল ছবি

সম্প্রচার নীতিমালার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ‘বিবেকের কাছে’ দায়বদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

তিনি বলেন, “নীতি কিন্তু আইন নয়। আপনার বিবেক-বিবেচনা অনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনার নীতিবোধ তৈরি করার জন্য একটি নিয়মের কথা বলা হচ্ছে। আপনি নিয়ম নাও মানতে পারেন, নিয়ম না মানলে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নাই, আইন না মানলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে।”

সশস্ত্র বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় অথবা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায়- এমন বিষয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে টেলিভিশন ও রেডিওর জন্য গত ৮ অগাস্ট এই নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই দিন থেকেই নীতিমালাটি কার্যকর হয়েছে।

ওই নীতিমালা অনুমোদন করার পর থেকেই সাংবাদিকদের একটি অংশ এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকারের এই নীতিমালা।

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “আমরা কি নিয়মের মধ্যে আসব না? অনিয়ম করে বেশি দিন চলা যায় না। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিরও অনেক নিয়ম করতে হবে।”

অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।