রোববার সকালে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিলকে নিয়ে পুলিশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে এসে এ ক্ষমা চেয়ে যান।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের সহকারী উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান, সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসেন ও শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।
সামিনা লুৎফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় অনুতপ্ত হয়ে এবং ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে এম এ জলিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বরাবর একটি লিখিত পত্রে দোষ স্বীকার করেছেন।”
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন শিবলী নোমান। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ওই ভুল বোঝাবুঝি নিরসন করতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম।”
পুলিশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল।