শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত শিশু সাংবাদিকদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে তারা এই আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খায়রুল আলম খান বলেন, "শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে হ্যালো ভূমিকা রাখবে। শিশুরা তাদের কথা লিখবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর 'হ্যালো' সারাবিশ্বে তাদের লেখা ছড়িয়ে দেবে।
তিনি শিশুদেরকে পড়াশোনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের কাজ করতে হবে। তারপর খেলাধূলা, সংস্কৃতি চর্চা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।"
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলওয়াত করে শিশু সাংবাদিক আশিকুজ্জামান শিহাব ও গীতা পাঠ করে শিশু সাংবাদিক মানসী বিশ্বাস।
পরে প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খায়রুল আলম খান শিশুদের মধ্যে শিশু স্মারক কার্ড বিতরণ করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সদী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, "সমস্ত ভয়কে জয় করে তোমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তোমরাই আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে।"
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. জাকির হোসেন বলেন, "বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তোমাদের হাতে কলম তুলে দিয়েছে। এ কলম দিয়ে তোমরা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।"
টুঙ্গিপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. সেলিম বলেন, "এখন সময় এসেছে সমাজ থেকে অসঙ্গতি বিতারিত করার। তোমরা আর বঞ্চিত থাকবে না। তোমাদের কথা তোমরা লেখেই প্রকাশ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।"
গোপালগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের সাধারন সম্পাদক শেখ মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, "কলম তলোয়ারের চেয়েও শক্তিশালী । তোমরা এ কলম দিয়ে দেশাত্ববোধের পরিচয় দেবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সহ-ফিচার সম্পাদক হাসান বিপুল শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, গোপালগঞ্জের শিশুরা প্রশিক্ষণে অসম্ভব ভাল করেছে। এখানে মেধাবী শিশুরা অংশ নিয়েছে। তারা সাংবাদিকতায় ভাল করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালক শুভার্থী আইনজীবী বিজন বিশ্বাস বলেন, আমাদের দেশের ৪২ ভাগ শিশুর কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে।
আলোচনা সভা শেষে গোপালগঞ্জ 'ত্রিবেণী গণ-সাংস্কৃতিক সংগঠনে'র শিল্পীরা মঞ্চে এসে প্রথম গোপালগঞ্জের ওপর একটি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর ওই সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা একের পর এক নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ত্রিবেণী গণ-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদায়ান নিশান। গোপালগঞ্জ ত্রিবেণী গণ-সাংস্কৃতিক সংগঠনের অধ্যক্ষ রাখাল ঠাকুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দর্শকদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি টানেন।
এর আগে বিকাল থেকেই শিশু, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অডিটোরিয়ামে এসে উপস্থিত হন।
তাদের পদচারণায় গোটা হল রুমে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে শিশুরা একটি আনন্দ মুখর সন্ধ্যা কাটায়। শিশুদের উৎসবে যোগ দিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষও উৎসবে মেতে ওঠেন।
এই অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা করেন গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সহকারী অধ্যাপক শুভার্থী মো. হাবিবুর রহমান ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি মনোজ সাহা।