কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে এক শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, ঘাঘটসহ অনেক নদ-নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, পানিবন্দি হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। হাজার হাজার হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে।
বাঁধ ও উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নেয়া মানুষ গবাদি পশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করেছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে পানিবন্দি থাকা মানুষের মধ্যে।
ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন বানভাসি মানুষেরা।
কুড়িগ্রামে মানুষের দুর্ভোগ কমেনি
জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ একটুও কমেনি।
শনিবার সকালে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল জানান, শনিবার পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর আবাদি জমির ফসল পানির নীচে তলিয়ে গেছে। টানা পানিবন্দি থাকায় ফসলের সর্বশেষ কী অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে জরিপ করে জানা যাবে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর এবং চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখের আলী জানান, পানিতে ডুবে শুক্রবার দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন রৌমারী উপজেলার বারবান্দা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে লাম (৩) ও উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের দীঘল হাল্ল্যাহ গ্রামের রফিকের স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৩০)।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ডায়রিয়ায় ৩৫ জন ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জন হাসপাতালে ভতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য এখন পর্যন্ত ৮শ মেট্রিক টন চাল ও ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পর্যাক্রমে তা বানভাসি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
নতুন করে ৫শ মেট্রিক টন চাল ও ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নাগেশ্বরী উপজেলার বন্যা কবলিত বল্লভের খাস ও নুনখাওয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চর ঘুরে দেখা যায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের চিত্র।
বল্লভের খাস এলাকার খাদিজা বেগম (৪৭) একবুক পানিতে ১টি মুরগী, ১২ কেজি পাটসহ একটি বড় হাড়িতে ভর দিয়ে পথ চলছিলেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “বাপুরে দুইদিন থাইক্যা ছাওয়ালদের ঠিকমতন খাবার দিতে পারি নাই। পাইকার আইছে শুইন্যা এগুলান বেইচা দিতে যাচ্ছি।”
খাদিজা বেগম পানিতে যাতে ডুবে না যান এজন্য সঙ্গে হাড়ি নিয়েছেন। বেশি পানি হলে তিনি হাড়িতে ভড় দিয়ে চলতে থাকেন।
পাশেই ছবুরার (৪৫) বাড়ি। তাদের রয়েছে একটি গরু ও দুইটি ছাগল। স্বামী মোকছেদুল টাঙ্গাইলে কাজ করতে গেছেন।
এখন গৃহপালিত পশুদের কী খাওয়াচ্ছেন জানতে চাইলে জানান, “বাবারে আমাগো আর হেগোদের অবস্থা একইরকম। বর্তমানে পাটের পাতা, বাঁশের পাতা আর ধইনচার পাতা দিয়ে ঠ্যাকা ছাড়াচ্ছি।”
এরকম অবস্থা পুরো গ্রামের। খাসের চরের আন্না বেগম দুপুরের রান্না করছিলেন অন্ধকার ঘরের ভিতর মাচার উপর। ছয় জনের জন্য রেঁধেছেন সোয়া সের চাল। আর তরকারি হিসেবে পাটপাতা। সারাদিনে মাত্র দুবার খাবার সুযোগ পাচ্ছেন।
এই গ্রামের কিশোর বাতেন (১৩), মোকারম (১২) ও ছাদেকুল (১৫) জানায়, ছেলেরা দিনের বেলায় নৌকা বা ভেলায় বসে পায়খানা-প্রস্রাব করে, আর মহিলার করে রাতের বেলায়।
পুরো এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বেশিরভাগ লোক বন্যার পানি পান করছেন।
নুনখাওয়া ইউনিয়নের কাফনা গ্রামের জরিমন বিবি জানান, “বাপুরে বাড়ি উঁচু হওয়ায় বিপদে আছি। ৮টি পরিবার আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আমার পায়খানা ভরে গেছে। দুর্গন্ধে বাড়িতে টেকা যাচ্ছে না। নলকূপের ওয়াশার নষ্ট হওয়ায় আমরাও বিপদে আছি।”
অষ্টআশির চরের জয়মনা (৩৪) জানান, সারাদিন পানির মধ্যে চলাচল করায় তার পায়ে ঘা হয়েছে। ঔষধ কিনতে না পারায় ঘায়ে কেরোসিন দিয়েছেন। একই অবস্থা এই চরের নটকু (১৭), জোবেদ (২১) ও আকলিমার (৯)। তাদের শরীরে চুলকানি ও পায়ের আঙুলে ঘা হয়েছে।
গাইবান্ধায় শনিবার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাটি এলাকায় নতুন করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে তার ইউনিয়নের আলগার চর ও পাগলার চর, উড়িয়ার সিংড়িয়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এসব এলাকার মানুষ বসতবাড়ি ভেঙে নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত দুসপ্তাহ যাবত বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছে।
বগুড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে
সারিয়াকান্দি উপজেলার রহাদহ এলাকায় যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার পর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়া অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার ধুনট পৌরসভার আশপাশ ও উপজেলার আটটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
যমুনার পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানভাসি মানুষদের কাছে এখনও ত্রাণ পৌঁছেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সারিয়াকান্দিতে যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার পর ওই স্থান দিয়ে বন্যার পানি ধুনটের দড়িপাড়া ঢুকে পড়ে। পরে এই পানি বৃদ্ধি মানাস নদী, ইছামতি নদীর দুকূল উপচে পড়ে।
এরপর পানি তারাকান্দি হয়ে বাঙ্গালী নদীতে পড়ছে। ফলে বাঙ্গালী, ইছামতি, মানাস নদীর বিভিন্ন খাল দিয়ে আবাদী জমিতে গিয়ে প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জে বাঁধ ভাঙায় ধুনট উপজেলার দক্ষিণে পানি দ্রুত নামতে পারছে না। তাই ক্রমে বন্যার পানি বেড়ে ধুনটের গোসাইবাড়ী, চিকাশী, কালেরপাড়া, নিমগাছী, গোপালনগর, এলাঙ্গী, ভান্ডাবাড়ী, চৌকিবাড়ীসহ ধুনট পৌর এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান মামুন জানান, ৩৫ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অচিরেই সেই বরাদ্দ বন্টন করা হবে।
তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি জানতে বিভিন্ন ইউনিয়নে যাচ্ছেন বলে জানান।
জেলার বিস্তীর্ণ ইরি-বোরোসহ নানা ফসলি জমি ডুবে গেছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বন্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে আসতে পারছে না।
চাঁদপুরে জোয়ারের পানিতে প্লাবন
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে চাঁদপুর শহরসহ বিভিন্ন এলাকা। জেলা শহরের রহমতপুর আবাসিক কলোনি, পুরাণবাজার, কলেজ রোড, পশ্চিম ও পূর্ব জাফরাবাদ, হরিসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার চরগুলোও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিক উল্যাহ জানান, শনিবার সকালে চাঁদপুরে মেঘনা ও ডাকাতিয়ার পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, জেলার বন্যা কবলিত মানুষকে সহায়তা দেবার জন্য সরকারের কাছে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ৩০০ মেট্রিক টন চাল দেওয়ার জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
জামালপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, বকশিগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপদসীমার নীচে রয়েছে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম শনিবার জামালপুরের বন্যা কবলিত জামালপুর পৌরসভার নাওভাঙ্গা চর, মেলান্দহের মাহমুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তা যথা সময়ে বানভাসি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
ইসলামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের সবগুলো বন্যা কবলিত। এই উপজেলার অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দি আছে।
এলাকায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সরকারের ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধি ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের দাবি জানান।
ইসলামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমুর রহমান জানান, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির শনিবার আরো অবনতি হয়েছে। ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এতে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়ায় পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল, বাঘরা, লৌহজংয়ের মেদিনীমন্ডল, হলদিয়া, কনকসার, কুমারভোগ সিরাজদিখানের চিত্রকোট, টঙ্গীবাড়ির পাঁচগাঁও, হাসাইলবানারী, সদরের শিলই, বাংলাবাজারসহ প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থার অবনতি হয়েছে।
এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে, তলিয়ে গেছে আগাম ফসলি জমি।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশানক মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা লাঘবে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্লাবিত গ্রামগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করছে। এখনও সরকারিভাবে বন্যার্তদের জন্য ১শ টন চাল বরাদ্দের পাশাপাশি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সরকারি হিসাবে ৪৯টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ৮২৩ পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এখনও তৈরি করা হয়নি।
ভাঙনের মুখে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু কুড়িগ্রাম জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবারহ, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা ও মেডিকেল টিমের মাধ্যমে বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবের দাবিও জানান।
শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও উলিপুরের থেথরাই ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে পরিমাণ ত্রাণ দেয়া হচ্ছে তা নগন্য এবং বেশিরভাগ মানুষ ত্রাণ পাননি।
জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি তাসভিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ।
সরকার ত্রাণ সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে
এবারের বন্যা ৯৮ সালের বন্যার মতো রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
শনিবার দুপুরে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুরসহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, সরকার বন্যা দুর্গতদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে। আরো ত্রাণ সহায়তা করা হবে।
বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও কৃষি পুনর্বাসনে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান, মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চাঁন ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।