“যেসব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতক আজও বিদেশে পালিয়ে রয়েছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে। জাতি জানবে, হত্যাকারীদের ঠাঁই পৃথিবীর কোথাও নেই।”
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গোপালগঞ্জ সমিতির উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের চূড়ান্ত রায়ের পর পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হলেও দণ্ডিত কয়েকজন এখনো বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে হলেও ২০১০ সালে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। জাতি আজ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত।”
রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শ পাওয়া আবদুল হামিদ ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্টের ঘটনা স্মরণ করে বলেন, এ ধরনের হৃদয় বিদারক ঘটনা কেবল বাঙালির ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল।
“হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা নয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা এবং পরাজিত শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।”
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
“আমাদের দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা।”
সেই লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান আবদুল হামিদ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ ফারুক খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার।