এরা হলেন- হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, ল্যান্সনায়েক হিরা মিয়া ও সিপাহী তৈয়ব আলী।
হেফাজতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিনে শনিবার এই তিন সেনা সদস্য নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিমের তিনটি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
চাঁদনী রূপমের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন এমদাদুল হক। কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে হিরা মিয়া এবং মনোয়ারা বেগমের আদালতে আবু তৈয়বের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আলোচিত এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তারা নিজেরা জড়িত থাকার স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন।
“তারা বলেছেন, সিনিয়র অফিসারের নির্দেশে তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়েছিলেন।”
গত বুধবার এই তিনজনের সঙ্গে আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল ল্যান্সনায়েক মো. জালাল এবং নৌবাহিনীর সদস্য আরিফ হোসেনকে। তাদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই পাঁচজনই র্যাব-১১ এ ছিলেন। এই ব্যাটালিয়নের সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ও এম এম রানাও হত্যাকাণ্ডের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে শিহাবউদ্দিন নামে র্যাবের আরো এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
“মামলার তদন্তে সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে, একটি সুন্দর তদন্তের জন্য আরো সময় প্রয়োজন। আমরা খুব দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করব,” বলেন তিনি।
কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে খুনের আলোচিত এই মামলা তদন্ত করছেন নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মামুনুর রশীদ মণ্ডল।
মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেন ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে রয়েছেন।
“আমরা আশা করছি, বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় অচিরেই তাকে দেশে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হবে, বলেন পিপি ফজলুর রহমান।