রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, শুক্রবার গভীর রাতে মগবাজার এলাকা থেকেই তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন- ফারুখ ও সোহেল।
দুই জনই ওই হত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি। তারা মূল হোতা কালা বাবুর অন্যতম সহযোগী বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই দিন গুলি চালানোর সময় হামলাকারীদের দলে গ্রেপ্তারকৃতরাও উপস্থিত ছিলেন।”
এর আগে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রমনা থানার মামলাটি করেন নিহত বৃষ্টি আক্তার রানুর ভাই শামিম ওরফে কালা চাঁন। এতে আসামি করা হয় ১৫ জনকে।
গ্রেপ্তার দুই জনসহ অন্য আসামিরা হলেন- কালা বাবু, ফয়সাল আহমেদ রনি, শাহাদাত, রাজু, তপু, আরিফ, মারুফ, বিল্লাল, ঠাণ্ড, সিরাজ, পিচ্চি রনি ও জনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার সোনালীবাগের ওই বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে রানুসহ (৩০) নিহত হন তার বাড়ির ভাড়াটে মুন্না (২২) ও বিল্লাল হোসেন (২০)।
ওই হামলায় আহত রানুর ভাই হৃদয় (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “কালা বাবু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কালা চাঁন ওরফে শামিমের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তারা কালা চাঁনের বোনকে ও তার বাড়ির দুই ভাড়াটিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।”
মামলা দায়েরের আগে শুক্রবার সকালে সোনালীবাগের এক বাসা থেকে আসামি কালা বাবুর দুই চাচিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মামলার বাদী কালা চাঁন মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।