মগবাজারে ৩ খুন: কালা বাবুসহ ১৫ জন আসামি

মগবাজারের গুলি করে ৩ জনকে হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2014, 07:21 PM
Updated : 29 August 2014, 07:21 PM

রমনা থানার উপ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিহত বৃষ্টি আক্তার রানু’র ভাই শামিম ওরফে কালা চাঁদ এই মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের তালিকায় কালা বাবু, ফয়সাল আহমেদ রনি, শাহাদাত, রাজু, তপু, সোহেল, আরিফ, মারুফ, বিল্লাল, ঠাণ্ড, সিরাজ, পিচ্চি রনি ও জনিসহ মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, “কালা বাবু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কালা চাঁন ওরফে শামিমের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় তারা কালা চাঁনের বোনকে ও তার বাড়ির দুই ভাড়াটিয়াকে গুলি করে হত্যা করে।”

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার সোনালীবাগের ওই বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন বৃষ্টি আক্তার ওরফে রানু (৩০), তার বাড়ির ভাড়াটে মুন্না (২২) ও বিল্লাল হোসেন (২০)। রানুর ভাই হৃদয় (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত বৃষ্টি মগবাজার রেলওয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কালা চানের বড় বোন।

ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহমুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কালা চাঁনের পক্ষে বৃষ্টি তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতেন। ছয়টি ঘরের প্রতিটির ভাড়া মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

এলাকাবাসী জানায়, কালাচাঁনের দখল করা জমিতে টিনশেড ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছিলেন বৃষ্টি। স্থানীয় সন্ত্রাসী কালা বাবু অনেক দিন ধরেই ওই জমির দখল নিতে চায়।

ঢাকার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল খালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেলের জমির দখল নিয়ে কালা চাঁন ও কালা বাবুর মধ্যে ঝামেলা ছিল।

পুলিশ শুক্রবার সকালে সোনালীবাগের এক বাসা থেকে কালা বাবুর দুই চাচীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

রমনা বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার ইকবাল হোসেন বলেন, “তারা কতটুকু জানেন তা জানার জন্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”