শুক্রবার বিকালে নগরীর ফুলকি মিলনায়তনে শুভার্থী সভায় আলোচকরা বলেন, এভাবে শিশুদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিলে ভবিষ্যতের দেশ গড়ার কারিগররা সফল হবে।
শিশুদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ তৈরিতে পরিবার, গণমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে বলেও মত দেন তারা।
নগরীতে শিশু উৎসবের আগে শুভার্থী সভায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক সুমন বড়ুয়া বলেন, “শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বিশেষায়িত ‘হ্যালো’ ওয়েবসাইট।
উদীচীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি চন্দন দাশ বলেন, “শিশুরা বৈচিত্র্য খোঁজে, অনলাইনেই তারা সবচেয়ে বেশি তা খুঁজে পায়। কোনো ধরনের স্বার্থ ছাড়াই সরলভাবে সবকিছু ভাবে তারা।
“শিশুদের সারল্য বিকাশে ‘হ্যালো’র মাধ্যমে একটা বড় সুযোগ করে দিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। এ উৎসব যেন আরো ছড়িয়ে পড়ে।”
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপ সচিব অধ্যাপক মাহবুব হাসান বলেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এ উদ্যোগে সব ধরনের সহায়তা থাকবে আমাদের। শিশুদের পাশে দাঁড়াব আমরা।”
খেলাঘর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিক রোজী সেন বলেন, “শিশু সাংবাদিক গড়ে তোলার প্রয়াস সত্যি প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে তাদের।”
চট্টগ্রাম সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি রনজিত রক্ষিত জানান, এ উদ্যোগ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সময়োচিত কাজ করেছে।
নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী বলেন, শিশুদের ভালোভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে সবাইকে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিদেক মিন্টু চৌধুরীর সঞ্চালনায় শুভার্থী সভায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌধুরী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রূপক চৌধুরী, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, কারিতাসের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ, কদম মোবারক উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা সালমা জাহান ও উন্নয়ন সংগঠক সৈয়দ নুরুদ্দীন সাখাওয়াত।
তিনি জানান, ২০০৭ সালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রথমবারের মতো বাংলায় শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত ওয়েবসাইট চালু করে। অল্প সময়ের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় কিডজ ডট বিডিনিউজ ডটকম।
আর শিশুদের সংগ্রহ করা খবর নিয়ে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত ওয়েবসাইট http://hello.bdnews24.com এর যাত্রা শুরু হয় গত বছর ৩১ মার্চ।
চলতি বছর 'হ্যালো'র সাংবাদিক বাছাই কার্যক্রম শুরু হয় গত ২২ অগাস্ট। ‘আমার কথাও যাবে বহুদূর’ স্লোগানে ২৩ জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি চলছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নেয়া এই উদ্যেগে এবার গ্রামীণফোনও অংশীদার।
চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, বরিশাল, ঝালকাঠী ও নড়াইলে হ্যালোর কার্যক্রম চলছে।
শনিবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটের গ্যালারি হলে নির্বাচিতদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালারও আয়োজন রয়েছে।
নগরীর রাইফেল ক্লাব মোড়ের থিয়েটার ইন্সটিটিউটের মূল মিলনায়তনে রোববার বিকালে নির্বাচিত শিশু সাংবাদিক, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও নানা পেশার ব্যক্তিদের নিয়ে হবে শিশু সাংবাদিক উৎসব।
হ্যালোর জন্য সংবাদ সংগ্রহ থেকে পরিবেশন পর্যন্ত সব কাজেই যুক্ত রয়েছে শিশু ও কিশোর সাংবাদিকরা। শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম এই বাংলা সাইটের সঙ্গে বর্তমানে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু-কিশোর যুক্ত রয়েছে।