সরকার সমর্থক এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তুহিনের বদলে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
“তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর তৌহিদ আল হোসেন তুহিনকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তুহিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগকর্মীর সঙ্গে প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরের বাকবিতণ্ডা হয়। এর পর মারধরের শিকার হন এ প্রকৌশলী। ওই দপ্তরের পিয়ন সুমন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের প্রহরী আবুল কাশেমও মারধরের শিকার হন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও রাস্তা মেরামতের জন্য টেন্ডার ডাকা হলে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন তার এক ঠিকাদার আত্মীয়কে এসব কাজ পাইয়ে দিতে প্রধান প্রকৌশলীকে বিভিন্নভাবে চাপ দেন।
“তিনি জামায়াত-বিএনপিপন্থি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়ে শিবিরের এজেন্ডা পালন করছিলেন। আমাদের কিছু ছেলে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বাগবিতণ্ডা হয়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি দপ্তরের ভিতরে কাজ করছিলাম এই সময় কিছু ছেলে এসে আমার প্রধান প্রকৌশলীকে মারধর করে। পরে জানতে পারি ওই শিক্ষার্থীরা প্রকৌশল দপ্তরের আরো দুই কর্মচারীকে মারধর করেছে।
“আমি মনে করি এরা শিক্ষার্থী নয়, সন্ত্রাসী। শিগগিরই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে অস্ত্র হাতে তার গুলি ছোড়ার দৃশ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ছাত্রলীগ বেশ সমালোচনায় পড়ে।
এর আগে ২০১২ সালে জুলাই মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিনকে বহিষ্কার ছাত্রলীগ।
একই বছর জুন মাসে পদ্মা সেতু নির্মাণে চাঁদার অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষেও তার জড়িত থাকার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।