আর তাই হাসিব (২০) নামে ওই যুবককে তার অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় আঘাতের কারণে ছেলেটি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য দিলেও তা সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
হাসপাতালের নার্সরা জানিয়েছেন, গত ১০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে হাসপাতালের চতুর্থ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডা. হুমায়ুন কবিরের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে।
শহরের কোর্ট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান প্রবাল ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তার দুই পা ভাঙা, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এরপর থেকে তাকে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ হিসাবে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন ডা. হুমায়ুন কবির ও ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান প্রবাল।
হাবিবুর রহমান বলেন, “গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের গোপালগঞ্জ শহরের সুফিয়া ভবনের সামনে রাস্তার পাশে ওই যুবক অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় আমি তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত থাকায় তাকে অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি করা হয়।
“এখন ছেলেটির জ্ঞান ফিরেছে। তবে সে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। বাবার নাম বা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারছে না। এগুলো বলতে পারলে আমরাই তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতাম।”
হুমায়ুন কবির বলেন, ছেলেটির দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের মানসিক সহযোগিতা দরকার।