শুক্রবার সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল।
এদিকে পানি বাড়ার কারণে জেলার নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়ায় পদ্মার ভাঙন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের মুখে কামারখাড়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যা ও ভাঙনের কারণে টঙ্গীবাড়ির কামারখাড়ায় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জেলার অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।
সরকারি হিসেবে ৪৯টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ৮২৩টি পরিবারের বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন প্লাবিত এলাকায়ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হবে বলে জানান সাইফুল হাসান বাদল।
ওদিকে আগে থেকেই প্লাবিত শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল ও বাঘরা, লৌহজংয়ের মেদিনীমণ্ডল, হলদিয়া, কনকসার, কুমারভোগ সিরাজদিখানের চিত্রকোট, টঙ্গীবাড়ির পাঁচগাঁও, হাসাইলবানারী, সদর উপজেলার শিলইসহ বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যাবাহিত রোগের ব্যপারে বন্যার্ত গ্রামগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করছে।
বন্যার্তদের জন্য সরকারিভাবে একশ’ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে জেলা প্রশাসন থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের নির্দেশ দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।