হাতিয়া থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানান, ফিরে আসা জেলেদের সাথে এখনও তার আলাপ হয়নি। তবে একাধিক সূত্র থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন জেলেরা ফিরে এসেছেন।
এর মধ্যে ফারুক, সমির ও তাছলিম নোয়াখালী জেলা শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
জেলেরা জানান, ২৫ অগস্ট বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গেলে মধ্যরাতে জলদস্যুরা ‘এম.ভি মায়ের দোয়া-২’ ও ‘এম.ভি রুনা’ নামের মাছ ধরার ট্রলার দুটি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এক সময় দস্যুরা ট্রলার দুটিকে ঘিরে ফেলে এবং দুশ’ মণের মতো ইলিশ লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় দস্যুদের গুলিতে মো. শাহনাজ উদ্দিন (৪০) ও মো. জহির উদ্দিন সেরাং (৪০) আহত হয়ে সাগরে পড়ে যান। তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অপর জেলেদের অপহরণ করা হয়।
এদিকে ‘এম.ভি মায়ের দোয়া-২’মালিক দিদারুল হোসেন জানান, দস্যুরা সেদিন তিনটি ট্রলারে আক্রমণ করে। এতে ৩৬ জন জেলে ছিলেন।
এদের মধ্যে ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ সাতজনসহ ১২জন সাঁতরে ফিরে আসেন। বুধবার রাতে ফেরেন আরো ১৪ জন। তবে বাকীদের অবস্থা জানা যায়নি।
ফিরে আসা জেলেরা দস্যুদের ব্যাপারে কিছু বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। তবে একটি সূত্র দাবি করছে, মুক্তিপণের বিনিময়ে এরা ছাড়া পেয়েছেন।