ভারতে অস্ত্রের চালান আটক, দুই বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ৫

ভারতের মিজোরামে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি  বলে দাবি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

আগরতলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2014, 01:25 PM
Updated : 28 August 2014, 01:30 PM

বিএসএফের ডিআইজি বিএস রাওয়াত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ বাহিনীর আইজাওয়াল ফ্রন্টিয়ারের সদস্যরা মিজোরাম পুলিশের সহায়তায় রাজ্যের বিমানবন্দর সড়কে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করে।

তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এম-১৬ রাইফেল, এম-১৬ ও একে-৪৭ রাইফেলের ৫ হাজার ১০০ গুলি, দশটি মোবাইল ফোন, ৬০ হাজার ভারতীয় রুপি এবং বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

আটক পাঁচজনই চাকমা জনগোষ্ঠির। এদের মধ্যে জিউস চাকমা (২৮) ও সুমিত্র চাকমা (৪৮) বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছে বিএসএফ।

জিউস চাকমা নিজেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছেন, যে সংগঠনটি বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে।

গ্রেপ্তার বাকি তিনজন হলেন - পূর্ণজয় চাকমা (৪৫), দীপঙ্কর চাকমা (৩৩) ও বিজয় চাকমা (৩১)। তারা সবাই মিজোরামের মামিত জেলার রাজীবনগরের বাসিন্দা।  

বিএসএফ ডিআইজি বিএস রাওয়াত বলেন, “আটকদের পরিচয়, কোথা থেকে এসব অস্ত্র তারা সংগ্রহ করেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

মিজোরামে এর আগেও অস্ত্রসহ চাকমা যুবকদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে বলে বিএসএফ কর্মকর্তারা জানান।

গত বছরের ৭ মার্চ রাজ্যের লিংপুই বিমানবন্দরসংলগ্ন একটি খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এবং আসাম রাইফেলসের সদস্যরা ২৩টি একে-৪৭ বন্দুক, একটি এলএমজি এবং ব্রাউনিং রাইফেলের সঙ্গে বাংলাদেশি তিন আদিবাসীকে আটক করে।

আটক রবি চাকমা, সবুজ চাকমা ও মনি ত্রিপুরার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ওই খামারবাড়ির কাছে আরেকটি স্থান থেকে আটটি একে-৪৭ বন্দুক ও ৮০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনার তিনদিন পর মিজোরাম পুলিশ দাবি করে, আটক অস্ত্রশস্ত্র সন্তু লারমার দল জনসংহতি সমিতিকে পাঠানোর জন্য মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

আটক তিনজন জনসংহতি সমিতির সদস্য বলেও সে সময় দাবি করেছিল রাজ্য পুলিশ।

মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ৭২২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আর ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের ৪০৪ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে অবাধ বিচরণের সুযোগ।