অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে এই কমিটিতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও স্থানীয় গণপূর্ত দপ্তরের উপ-বিভাগীয় পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার এই কারাগার পরিদর্শনের পর সন্ধ্যায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে কাশিপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদের বিরুদ্ধে বন্দিদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা খবর প্রকাশিত হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, “অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে মঙ্গলবার খবর প্রকাশের পর আমি নিজ থেকেই বুধবার বিকালে ওই কারাগার পরিদর্শনে যাই। প্রকাশিত খবর কতটুকু সত্য কিংবা আদৌ সত্য কি-না তা যাচাই করতেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
এদিকে কারাগার নিয়ে তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন জেলার জান্নাতুল ফরহাদ।
তিনি আসার পর বন্দিদের অনৈতিক সুবিধা বন্ধ হয়ে যায় বলে অনৈতিক সুবিধা ভোগকারী বন্দিদের সহযোগিতায় এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
কারাগারের সিনিয়র সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “ওই খবরের সত্যতা নেই। বুধবার ওই পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে, যার কপি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।"