আনন্দে উদ্বেল কাওসার র্যাব সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ছেলেদের সাংবাদিক ও র্যাব বানাতে চান তিনি।
স্ত্রী রুনা আক্তারকে নিয়ে কাওসার থাকেন মোহাম্মদপুরের বিজলী মহল্লায়। গত ২০ অগাস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের দুটি যমজ সন্তান হয়। কিন্তু পরদিন সকালে একটি ছেলে চুরি হয়ে যায়।
এক সপ্তাহের মাথায় বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর বোর্ডবাজারের উত্তর কলমেশ্বর এলাকায় বেলি আক্তার ওরফে রহিমা নামের এক নারীর বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, রাশেদা খানম পারভীন (৪৮) নামের এক ধাত্রী হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে চুরি করে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে রহিমার হাতে তুলে দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের ওই অভিযান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই কাওসার ও রুনার কোলে তুলে দেয়া হয় তাদের হারানো সন্তানকে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিষয়ে বলার পর র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান নবজাতকের বাবা কাওসারকে কিছু বলতে অনুরোধ করেন।
শিশুটিকে উদ্ধারের কৃতিত্ব সংবাদকর্মীদের দিয়ে তিনি বলেন, “আজ যদি মিডিয়া প্রচার না করত, আমার সন্তানকে উদ্ধার করা যেত না। সরকারকে ধন্যবাদ, প্রশাসনকেও ধন্যবাদ। মিডিয়ার প্রচারের কারণে তারা আমার সন্তানকে উদ্ধার করতে পারছে।
“তাই আমার চিন্তা ভাবনা, বড় হইলে আমার দোনোডা ছেলেকে সাংবাদিক বানাব।”
এ সময় উপস্থিত র্যাব সদস্য ও সাংবাদিকরা হাততালি দিয়ে উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন।
কাওসার বলেন, “র্যাবকেও ধন্যবাদ।”
এ সময় পাশ থেকে একজন বলে ওঠেন, র্যাব তো উদ্ধার করল।
জবাবে কাওসার বলেন, “আমি দুই ছেলেকেই সাংবাদিক বানাব চিন্তা ভাবনা করেছি। তবে আপনাদের অনুরোধ থাকলে একজন র্যাব, একজন সাংবাদিক। আপনারা দোয়া করবেন।”
রুনা আক্তার বলেন, “আমি খুশিতে আত্মহারা। স্বামীর ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা।”
তিনি জানান, এক ছেলের নাম তারা রেখেছেন ইয়াসিন হোসেন, অন্যজনের এখলাস হোসেন।