শাবি শিক্ষককে কুপিয়ে জখম, শিক্ষার্থী বহিষ্কার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রধানকে তার কার্যালয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক ছাত্র।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2014, 05:43 AM
Updated : 28 August 2014, 10:51 AM

গুরুতর আহত অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিলয় চন্দ্র সরকার।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সহকারী প্রক্টর জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন ‘ডি’ তে অধ্যাপক নিয়াজের কার্যালয়ে ঢুকে চাকু ও রামদা নিয়ে হামলা চালায় সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ওয়েছ আহমেদ।

এতে অধ্যাপক নিয়াজ হাত, মাথা ও কাঁধে আঘাত পান। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই ভবন থেকে বেরিয়ে পালানোর সময় লাইব্রেরি ভবনের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা ওয়েছকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, “ওয়েছকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে আজীবন বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।”

সহকারী প্রক্টর নিলয় জানান, হামলার পরপরই অধ্যাপক নিয়াজের কক্ষ থেকে একটি রক্তাক্ত চাকু এবং একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগে ওয়েছের পরিচয়পত্রও ছিল।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রহমতুল্লা বলেন, “ওয়েছ বলেছে, সে একাই হামলা করেছে, তার সঙ্গে আর কেউ ছিল না।”

জালালাবাদ থানার ওসি গৌসুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ’ থেকেই ওয়েছ বিভাগীয় প্রধানের ওপর হামলা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। তবে কী কারণে এই ‘আক্রোশ’- তা তিনি বলতে পারেননি।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে ওয়েছের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।