জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, বুধবার বিকালে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়া তিস্তার পানি ১৭ সেন্টিমিটার ও দুধকুমোর নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন জানান, বুধবার ভোর রাত থেকে হাতিয়া বাজারের কাছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। পানির নীচে রয়েছে প্রায় এক হাজার ফুট বাঁধ।
এর ফলে প্লাবিত হয়েছে শ্যামপুর, ভাটিগ্রাম, নয়াগ্রাম, কাচারিয়ারঘাট, মিয়াজি পাড়া, কারীপাড়া, চরময়াপাড়া, দীঘলহাল্ল্যাহ, রামরামপুর, বালারচর, উচা ভিটা, দাড়ারপাড় গ্রামে নিম্নাঞ্চল।
নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার।
জেলা ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান জানান, জেলার ৫৫টি ইউনিয়নের ২৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৮শ মেট্রিক টন চাল ও ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বুধবার পর্যন্ত জেলার বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ৬শ মেট্রিক টন চাল ও সাত লক্ষ টাকা বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ জানান, বুধবার সকালে ধরলা, ব্রক্ষপুত্র ও দুধকুমোর নদীর দুর্গম দ্বীপচর, নারায়ণপুর, চর যাত্রাপুরসহ বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পানিবন্দি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।