বুধবার সকালে ভাগ্যকূল পয়েন্টে আরো দুই সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল পদ্মা। ফলে শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী ও সদর উপজেলার একাংশের পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের আরো নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সরকারি হিসাবে লৌহজং ৪২টি ও শ্রীনগর উপজেলায় ছয়টি পরিবার সম্পূর্ণ এবং টঙ্গিবাড়ি ২৬৪ পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলার কামারখাড়ায় পদ্মার ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ৪৮টি পরিবারের বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে টঙ্গিবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার মন্ডল জানান, স্কুল ভবনটির একহাত দূরেই পদ্মা প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় ভবনটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে বাঁশ দিয়ে ভাঙন থেকে স্কুলটি রক্ষায় চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিকল্প হিসেবে নদী থেকে নিরাপদ স্থানে শেড তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই শেড তৈরি হলে শিক্ষা কার্যক্রম আবার চালু হবে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, বন্যাবাহিত রোগের ব্যাপারে প্লাবিত গ্রামগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করছে। বন্যার্তদের জন্য সরকারিভাবে একশ’ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি করা চাল বিতরণের নির্দেশ দিয়ে এই উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে এবং এখনও কোন আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়নি বলে জানান তিনি।