বুধবার আসামিপক্ষের আপত্তির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তুরিন আফরোজকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মঙ্গলবার আজহারের মামলায় আইনি দিক নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তুরিন আফরোজ।
সেসময় রংপুর টাউন হলে একজন অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ করার ঘটনা বর্ণনা করে তুরিন আফরোজ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে ‘পশু’ ও ‘নরপশু’ বলে উল্লেখ করেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বুধবার আজহারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের শুরুতেই তার আইনজীবী শিশির মো. মনির প্রসিকিউটরের শব্দচয়নের বিষয়ে মৌখিক আপত্তি জানান।
তিনি বলেন, “প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ যা বলেছেন, তা অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আদালত অবমাননার শামিল।”
আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন তুরিন আফরোজ।
আসামিপক্ষের প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
তুরিন আফরোজ বলেন, “ব্যক্তিগত অভিমত বা সিদ্ধান্তে এমন শব্দচয়ন আমি করিনি। প্রসিকিউশনের সিদ্ধান্তেই আমি তা বলেছি। তাছাড়া আমি অভিযুক্তকে অপরাধী বলছি না, বলতে পারি না।
“সেসময় তিনি (এটিএম আজহারুল ইসলাম) যেসব অপরাধ সংঘটিত করেছেন তার ভয়াবহতার মাত্রা বোঝাতেই এমন শব্দচয়ন করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যা উঠে এসেছে তাতে এমন শব্দচয়ন অযৌক্তিক কিছু না।
তুরিন আফরোজ আরো বিশদ ব্যাখ্যা দিতে চাইলে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, “গতকাল আপনি যখন এ ধরনের শব্দচয়ন করেছেন তখন আমরাও কিছুটা বিব্রতবোধ করেছি। কিন্তু আমরা বিষয়টাকে নিয়ে এগোতে চাই না। তাছাড়া আদালতে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।”
জবাবে তুরিন আফরোজ বলেন, “আমি অভিযুক্তকে হার্ট (আঘাত) করে কিছু বলতে চাইনি। যদি অভিযুক্ত এতে হার্ট (আঘাত) হয়ে থাকেন তাহলে সেজন্য আমি দুঃখিত।”
পরে আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ঠিক করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।