তিন ফেরি বন্ধ, পারাপার সমস্যা কাটেনি

পদ্মার প্রবল স্রোতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে দুই ঘাটে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক যানবাহন।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2014, 01:31 PM
Updated : 27 August 2014, 01:31 PM

স্রোতে চলার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন ফেরি সংকটের কারণে এ সমস্যা হচ্ছেন বলে বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ম্যানেজার শেখর চন্দ্র রায় জানান, প্রবল স্রোতের কারণে তিনটি ফেরি একেবারেই চালানো যাচ্ছে না। তাই ১৬টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে করছে ১৩টি। তবে সেগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চালানো যাচ্ছে না।

প্রবল স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার মতো প্রয়োজনের তুলনায় ফেরি কম থাকায় যানবাহন পারাপারে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।

ফাইল ছবি

কাওড়াকান্দি থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরত্বের মাওয়া পৌঁছতে এখন সময় লাগছে তিন ঘণ্টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত। তাই এখনো পণ্যবাহী ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন দুই ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি জানান, দুপাড়ে এখন ৬টি ফেরি ঘাটই সচল রয়েছে। ঘাটের সমস্যা এখন নেই। সমস্যা হচ্ছে স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল উপযোগী ফেরির। উজানের পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা স্থায়ী হবে।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান জানান, ফেরি সার্ভিস বিঘ্নিত হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য ছাড়াও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই দ্রুত এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার (১৯ অগাস্ট) রাত পৌনে ৯টায় আকস্মিক ৩ নম্বর রো রো ফেরিঘাটটি বিলীন হয়ে যায়। এতে মাওয়া-কাওড়াকান্দি পুরো ফেরিসার্ভিস অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ৪৬ ঘণ্টা পর রোরো ফেরিঘাট ২ নং ঘাটে স্থানান্তর করে সার্ভিস সচল রাখা হয়। কিন্তু ২ নম্বর ঘাটের সাধারণ ফেরির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বিলীন হওয়া ঘাটের প্রায় ১২০ গজ দূরে স্পিড বোট ঘাটের পাশে স্থাপন করা নতুন ৩ নম্বর ঘাট রোববার সন্ধ্যায় সাধারণ ফেরির জন্য সচল করা হয়। রো রো ফেরি ছাড়া অন্য সব ফেরি এই ঘাটে যানবাহন লোড-আনলোড করছে।