বুধবার দুপুরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এ ঘটনার পর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদেরসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পালাতক দুই আসামি হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) সাবেক সহকারী অধ্যাপক আতিয়ার রহমান ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. মশিউর রহমান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় বজলে কাদেরসহ সাত আসামি বুধবার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আব্দুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনানির পর জামিন হবে না বুঝতে পেরে আদেশের কিছুক্ষণ আগে মশিউর ও আতিয়ার বিচার কক্ষ থেকে চুপচাপ পালিয়ে যান।
পরে আদালত সাত আসামির সবার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে দুজনের চম্পট দেয়ার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
বিচারক এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কর্তব্যরত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন বলে ওই আদালতের কর্মকর্তা (নাজির) উবায়দুল করিম আকন্দ জানিয়েছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক তাহসিনুল হক ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে হাসপাতালের মালামাল কেনার জন্য দুই কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার ৯২০ টাকার দরপত্র হয়। আসামিরা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের যোগসাজশে পুরো অর্থ আত্মসাৎ করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ চলতি বছরের ১৫ মে সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।