গত দশ দিনে কয়েকদফায় এদের সনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন উল্লাপাড়ায় ২০ জন ও শাহজাদপুরে ১৪ জন। তাদের নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আইসিডিডিআর,বি’র একটি মেডিকেল টিম বুধবার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।
“দুই উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩৪ জন অ্যানথ্রাক্স লক্ষণযুক্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, আতংকের কিছু নেই,” বলেন তিনি।
জেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, গত শনিবার (২৩ অগাস্ট) শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের নুরু ব্যপারীর অসুস্থ ছাগল জবাইয়ের পর মাংস কাটাকাটি করে ও খেয়ে ১৪ জন অসুস্থ হন।
তিনি বলেন, “এদের মধ্যে নয় জনকে মঙ্গলবার ও পাঁচ জনকে বুধবার সনাক্ত করা হয়। তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকুমার সুর রায় জানান, গত ১৬ অগাস্ট চরনন্দীগাঁতী গ্রামের আব্দুর রহমানের একটি গরু অসুস্থ হলে স্থানীয় কয়েকজন গরুটি কিনে জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নেয়। ওই মাংস খেয়ে বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়।
“একটি চিকিৎসক দল নিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
শাহজাদপুরে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন কৈজুরী গ্রামের রুহুল আমিন (১৮), মজিবর রহমান (৪৮), শাহ আলম (২৬), মোছা. আইমালা খাতুন (৫৫), পাখি (১০), শাকিল (১৫), খাবিদ (১৭), শামছুল হক (৩৬) ও মানিক (৩০)।
শাহজাদপুরের অপর পাঁচ জনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।